ঢাকা,রোববার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪

জেলার ৪ আসনে ৩৪ প্রার্থীর মনোনয়ন বাছাই আজ

নিউজ ডেস্ক ::
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র বাচাই আজ। জেলার ৪টি আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন ৩৪ জন প্রার্থী। আজ নির্ধারণ হবে কক্সবাজার-২ (মহেশখালী-কুতুবদিয়া) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আশেক উল্লাহ রফিকের প্রতিদ্বন্দ্বী হামিদুর রহমান আযাদ না আলমগীর ফরিদ।  আইনগত জটিলতা না হলে হামিদুর রহমান আযাদই হচ্ছেন ২৩ দলীয় জোটের প্রার্থী। ছিটকে পড়লে ধানের শীষের প্রার্থী হবেন আলমগীর ফরিদ। তবে এখনো স্থানীয় বিএনপি আলমগীর ফরিদকে সমর্থন জানায়নি।
আগামি ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজারের ৪টি আসনে ৩৪ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এতে সর্বোচ্চ ১২টি মনোনয়নপত্র  দাখিল হয়েছে কক্সবাজার-২ মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনে। জেলার ৪টি আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীতা নিয়ে জটিলতা না থাকলেও এখনো ২টি আসন কক্সবাজার-২ ও কক্সবাজার-৪ আসনে প্রার্থী চুড়ান্ত হয়নি বিএনপি’র তথা ২৩ দলীয় জোটের। কক্সবাজার-১ আসনের ৮ জন, কক্সবাজার-২ আসনের ১২ জন, কক্সবাজার-৩ আসনের ৬ জন ও কক্সবাজার-৪ আসনে জন প্রার্থী। আজ হিলটপ সার্কিট হাউজে মনোনয়নপত্র বাচাই অনুষ্ঠিত হবে জানিয়েছেন কক্সবাজারের রিটার্নির অফিসার (জেলা প্রশাসক) মোঃ কামাল হোসেন।
এদিকে কক্সবাজার-২ আসন নিয়ে এলাকায় চলছে নানা জল্পনা-কল্পনা। আইনগত জটিলতায় হামিদুর রহমান আযাদ’র মনোনয়নপত্র বাতিল হলে কপাল খুলবে আলমগীর ফরিদের। আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক জামায়াত নেতা হামিদুর রহমান আযাদকে দেওয়া ২ মাসের সাজাকে কেন্দ্র করে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। তবে মনোনয়নপত্র বাছাই ছাড়াও আজ উচ্চ আদালত থেকে একটি সিদ্ধান্ত আসবে এমন প্রতীক্ষায় রয়েছেন হামিদুর রহমান আযাদ ও আলমগীর ফরিদের লোকজন।
কক্সবাজার জেলা ছাত্র শিবিরের সাবেক সভাপতি কামরুল হাসান জানিয়েছেন, ২৩ জোটের একক প্রার্থী হামিদুর রহমান আযাদ। তিনিই ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবেন এতে সন্দেহ নেই। তিনি নির্বাচন করতে কোন আইনগত জটিলতা নেই। হামিদুর রহমান আযাদের আইনজীবি প্যানেলের বরাত দিয়ে তিনি জানান, বিষয়টি মোকাবেলা করতে প্রার্থীতা বাছাইকালে আইনজীবি উপস্থিত থাকবেন।
মহেশখালী উপজেলা বিএনপি’র আলমগীর ফরিদ সমর্থিত উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি সাবেক চেয়ারম্যান রুহুল কাদের বাবুল জানান, আলমগীর ফরিদই জোটের বৈধ প্রার্থী। হামিদুর রহমান আযাদ বিএনপি’র যে প্রত্যয়নপত্র দেখাচ্ছেন তা ভূয়া। এর কোন সত্যতা নেই। একই সাথে তিনি সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় প্রার্থী হতে পারবেন না। এ ছাড়া আলমগীর ফরিদ ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে বিপুল ভোটে সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন।
নাম প্রকাশে অনিশ্চুক মহেশখালী উপজেলা বিএনপি’র একজন যুগ্ম আহবায়ক জানিয়েছেন, আলমগীর ফরিদকে মহেশখালী ও কুতুবদিয়া বিএনপি’র কোন ইউনিট এখনো সমর্থন করেনি। তিনি ছিলেন বিএনপি’র মুলধারার বাইরে। জোটের সিদ্ধান্তের বাইরে নেই বিএনপি’র নেতাকর্মীরা। জোটের ঘোষিত প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন আলমগীর ফরিদ। আজ বাছাইয়ের সময়ও হামিদুর রহমান আযাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করবেন তিনি। যার ফলে জোটের মধ্যে বিরোধ চরম আকার ধারণ করবে।

পাঠকের মতামত: